বেহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। অথচ ভোটার তালিকা অনুয়ায়ী তিনি ‘মৃত’। আর তাই এবার ভোট দিতে পারবেন না রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের সিনিয়র একজিকিউটিভ অফিসার শৈলেনচন্দ্র ঘোষ। হ্যাঁ, এখনও চাকরি করছেন ৫৯ বছরের শৈলেনচন্দ্র। অবসর নেবেন আগামী বছর জুন মাসে। ১৯৭১ সালে থেকে রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। কমিশনের ভোটদাতাদের তালিকায় শৈলেনচন্দ্র ‘মৃত’ হলেও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নতুন ডিজিটাল এপিক কার্ড পাঠিয়ে দিয়েছে খোদ নির্বাচন কমিশন।
এখানেই শেষ নয়। ৭ দিন আগের এক নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, সেকেন্ড পোলিং অফিসার হিসেবে তাঁকে ডিউটি করতে হবে খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুলে। আশুতোষ কলেছে তাঁর নিয়মিত ভোটের ট্রেনিংও চলছে। এখন প্রশ্ন, কমিশনের চোখে যিনি মৃত, তাকে কমিশন নির্বাচনের কাজে বহাল করল কিভাবে? আর,যদি মৃত না হন, তাহলে ভোটার তালিকায় তিনি মৃত্যুবরণ করলেন কিভাবে? দফায় দফায় কমিশনকে জানিয়েও এর কোনো ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত পাননি শৈলেনচন্দ্র ঘোষ।