চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে গতকাল বিশেষ দিন ছিল দলের অধিনায়কের। সোমবার সিএসকে-র হয়ে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এমন বিশেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬ রান ও বোলিং করতে এসে ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ‘ক্যাপ্টেন কুল’এর সিএসকে-কে ৪৫ রানে জয় এনে দিলেন মইন আলি। ফলে সঞ্জু স্যামসনদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য জলে গেল চেতন সাকারিয়ার লড়াই। কারণ ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৩ রান করেই থেমে গেল রাজস্থান রয়্যালস।
তবে শুধু মইন নন, ব্যাটে রান না পেলেও বল হাতে এক ওভারে চমক দিয়ে রাজস্থান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। যদিও মনন ভোহরা ও সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে বিপক্ষকে শুরুতেই জোড়া আঘাত দেন স্যাম কারেন। ৪৫ রানে ২ উইকেটে খোয়ানোর পর থেকে রাজস্থানকে দেখে মনে হয়নি ধোনির স্পিনারদের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে পারবেন। জস বাটলার রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের এক দিক আগলে রেখে ব্যাট করলেও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
১২তম ওভারে দলকে জোড়া সাফল্য এনে দিলেন জাড্ডু। বাটলারকে প্রথম বলে ফেরানোর পর শেষ বলে শিবম দুবের উইকেট নিয়ে বিপক্ষের জয়ের স্বপ্ন একেবারে গুঁড়িয়ে দেন। বাকি কাজটা সারলেন মইন আলি। জাডেজা ২৮ রানে ২ ও স্যাম কারেন ২৪ রানে ২ উইকেট নিলেন। এদিকে, ধোনির দল স্কোর বোর্ডে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান তুললেও হলুদ বাহিনীর তারকাদের ব্যাটে বড় রান কিন্তু এল না। ফ্যাফ দু’প্লেসি (৩৩), মইন আলি (২৬), সুরেশ রায়না (১৮), অম্বাতি রায়ডু (২৭) থেকে খোদ অধিনায়ক মাহি (১৮) সবাই শুরুটা ভাল করলেও রাজস্থানের বোলাররা বারবার আঘাত হানলেন।
আইপিএল-এর অভিষেক ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন চেতন সাকারিয়া। সোমবার ওয়াংখেড়ের বাইশ গজে ফের আগুন ঝরালেন সৌরাস্ট্রের এই বাঁহাতি জোরে বোলার। রায়না, রায়ডুর পর ধোনিকে ফিরিয়ে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার ভেঙে দিলেন এই তরুণ। নিলেন ৩৬ রানে ৩ উইকেট। ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ক্রিস মরিস। যদিও শেষ দিকে ডোয়েন ব্র্যাভোর মারমুখী মেজাজে ৮ বলে অপরাজিত ২০ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান তুলল চেন্নাই।