যোগী আদিত্যনাথদের কটাক্ষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা আগেই বলেছেন যে, ভোটের মরশুমে গেরুয়া শিবিরের বহিরাগত নেতা এবং কর্মীরা এসেই বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছে। বিজেপিই এই রাজ্যে করোনাকে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ অত্যাধিক হারে বাড়ছে। এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যাঁরা এবার বাইরে থেকে বাংলায় আসতে চাইবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করার পরই বাংলার মাটিতে পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ভোটের মরসুমে অন্তত ১০ হাজার মানুষ অন্য জায়গা থেকে বাংলায় এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংক্রমিত। আর এঁদের কারণেই বাংলায় আবার হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ‘বহিরাগত’দের নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, “এরপর বড় কোনও অঘটন ঘটলে তার জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশনই দায়ী থাকবে।”
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকদিন ধরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কমিশন ভোট প্রচারে লাগাম টানলেও করোনা রুখতে তা বিরাট কোনও ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না, সে নিয়ে সন্দীহান ওয়াকিবহল মহল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করানোর দাবিও তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে নির্বাচন। ফলে আগের মতোই চলবে জনসভা, রোড শো। আর সেই কারণেই বাড়ছে চিন্তা।
স্বাস্থ্য দফতরের গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড আক্রান্ত ৭,৭১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। বর্তমানে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। উপসর্গ তীব্র হলে তবেই রোগীকে হাসপাতালে এবং মৃদু উপসর্গ থাকলে প্রয়োজনে সেফ হোমে পাঠানো হবে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য চার সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছে রাজ্য প্রশাসন।