গত এক-দেড় মাসে ভারতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নিজের রেকর্ড প্রতিদিন নিজেই ভাঙছে মারণ করোনা ভাইরাস। কোভিডের নয়া স্ট্রেনে বাড়ছে সংক্রমণ, এমনকি মৃত্যুর হারও। গত কয়েকদিনে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিশেষ বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। সেই বৈঠকে নেতানেত্রীরা সকলেই একযোগে কাঠগড়ায় তোলেন মোদী সরকারকে।
তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত সময় পেয়েও মানুষের সুরক্ষার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আর সেই কারণেই দেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে মারণ ভাইরাস। এই বৈঠকে রাহুল গান্ধী রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন নির্মাতা হয়েও ভারত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অন্যতম হয়ে উঠেছে। বলেন, “সরকারের উচিত ছিল ঠিকমতো প্রস্তুত হওয়া। ওদের হাতে এক বছর ছিল। কিন্তু তাতেও ওরা ঠিকমতো প্রস্তুত হতে পারেনি।”
এদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা অভিযোগ করেন, এই মুহূর্তেই বড় জনসভাগুলি বন্ধ করা উচিত। বন্ধ করে দেওয়া উচিত ‘সুপার স্প্রেডার’ ইভেন্টগুলিও। তাঁর ইঙ্গিত থেকে স্পষ্ট, তিনি মূলত কুম্ভমেলার বিপুল জনসমাগমের কথাই বলতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে দ্রুত হারে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি প্রিয়াঙ্কা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৪৫ থেকে কমিয়ে ২৫ করা উচিত। সোনিয়ার আরও অভিযোগ, বহু রাজ্যই ভ্যাকসিন থেকে অক্সিজেন কিংবা ভেন্টিলেটরের ঘাটতি সম্পর্কে জানিয়েছে কেন্দ্রকে। কিন্তু মোদী সরকার সেই সব আর্জিতে কোনও রকম কর্ণপাত করেনি। এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন মুখ খোলেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ”আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে কোভিড বিধি মেনে যথাযথ ভাবে সবটা পালন করা যায়।”