ভোটের ময়দানে ফের করোনার প্রকোপ। কুম্ভমেলা থেকে ঘুরে আসার পরই কোভিড আক্রান্ত ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশরাম দাস। বৃহস্পতিবার থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। শুক্রবার করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, গলাব্যথা এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, ৬ই এপ্রিল ভোট মিটতেই হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় যান পরেশরাম দাস। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। কুম্ভমেলা থেকে ফিরে এসে দিব্যি দলীয় কাজকর্ম করে গিয়েছেন। এমনকী ক্যানিং পূর্বের প্রার্থী শওকত মোল্লাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চলে যান ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজের স্ট্রং রুমে। রাতে বেশ খানিকক্ষণ সেখানে থাকেন ২ তৃণমূল প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, পরেশ রামদাসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে এদিন তড়িঘড়ি অনেকেই কোভিড পরীক্ষা করান। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকলের রিপোর্ট এসে পৌঁছোয়নি। ক্যানিং পশ্চিম তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে যাঁরা কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন বা গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সকলকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক এবং প্রশাসনের তরফ থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমনিতেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে করোনা পরিস্থিতি। বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে আক্রান্তের ভিড়। প্রতিদিন প্রতিটি ব্লকেই ৮ থেকে ১০ জন করে পজিটিভ রোগে ধরা পড়ছে। তার ওপর ভোটের প্রচার শেষ হতেই আরও বেড়ে গেছে করোনা টেস্টের সংখ্যা। ফলে বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও গ্রামের হাট, বাজার, মেলা সবই চলছে নিজের নিয়মে। অনেকেই মাস্ক পরছেন না। স্যানিটাইজার ব্যবহারের কোনও নিয়ম নীতি নেই বললেই চলে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।