আজ, শনিবার বাংলায় চলছে পঞ্চম দফার নির্বাচন৷ এদিন, ভোটপঞ্চমীর সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। এবার যেমন শান্তিপুরে গুলি চলার খবর সামনে এল। বোমাও ছোঁড়া হয়েছে বুথ লক্ষ্য করে। গুলি লেগে এক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা উত্তেজনায় থমথম করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত, নদীয়ার শান্তিপুরের বুথে এদিন সকাল থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ভোটারদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বেলা গড়াতেই ১৭৫ নম্বর বুথ ঘিরে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মুড়িমুড়কির মতো বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি লেগে জখম হয়েছেন সন্তু বাউল নামে এক তৃণমূল কর্মী। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি তিনি। বাড়ি মৌচাক কলোনিতে। গুলি তাঁর বাঁ হাত ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতালে শুয়েই সন্তু জানান, ভোট দিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় পেছন থেকে গুলি চালানোর শব্দ আসে। ভয়ে দৌড়তে শুরু করেন তাঁরা। একটি গুলি ছুটে এসে তাঁর বাঁ হাত ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা তৃণমূলের সমর্থক। তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি তাই আমাদের ওপর হামলা হল। ভোট দিয়ে ফেরার সময় আমি ও দলেরই কয়েকজন কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। আমি মাটিতে পড়ে যাই। তখন গুলি চালায় ওরা। সেই গুলি এসে লাগে আমার হাতে।’ সন্তু জানিয়েছেন, তিনি নতুন ভোটার। এবছরই প্রথম ভোট দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, এলাকারই কয়েকটি ছেলে যাঁরা বিজেপি করে তাঁরাই নাকি গুলি চালিয়েছে। কয়েকজনের নামও বলেছেন তিনি।