‘দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। আর নির্বাচন কমিশন তাদের কথায় চলছে’। এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতি আগের থেকে আরও ভয়ঙ্কর। সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের দলের পক্ষ থেকে শেষ তিন দফার নির্বাচন একদিনে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এমনকি আমরা নির্বাচনকে শেষ দিনে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলাম। যাতে যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। কিন্তু কমিশন সেই প্রস্তাবে আমল দেয়নি।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। শুধু আমরাই না, সুপ্রিম কোর্টের এক বর্ষীয়ান বিচারপতিও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’
এরপর বিজেপির রাজ্যে ২০০ আসন পাওয়ার দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দাবিটি করেছেন অমিত শাহ। আর অমিত শাহ-র এই সংক্রান্ত কোন অনুমানই আজ অবধি মেলে নি। ১১ রাজ্যে তিনি নির্বাচনের ফলাফলের ভুল অনুমান করেছেন। ১৩ টি রাজ্যে বিজেপি খারাপ ফল করেছে। দিল্লীতে ৭০ আসনে উনি বলেছিলেন ৪৫ টি বিজেপি পাবে। মাত্র ৮ টি পায়। ঝাড়খণ্ডেও ৮১ আসনে ৬৫ আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন। পেয়েছেন মাত্র ২৫ টি। হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশেও একই গল্প। তাই অমিত শাহ কী বললেন তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না দল।’
প্রশান্ত কিশোরের ‘হিন্দুরা বিজেপিকে লাড্ডু মনে করে, যা তারা চেখে দেখেনি’ এবং ‘মোদী মমতা রাজ্যে সমান ভাবে জনপ্রিয়’ , বিতর্কিত সেই রেকর্ডিং প্রসঙ্গে অমিত মিত্র বলেন, ‘রাজ্যের মানুষ জানেন এটা রাজ্যের নির্বাচন। মোদী বা অমিত শাহ বা কেন্দ্রীয় নেতারা কেউই এসে রাজ্য চালাবেন না। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাবেন। উড়িষ্যাতে তো লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন একসাথে হয়েছে। কিন্তু মানুষ ঠিক পার্থক্য করে নিয়েছেন।’