শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। তবে নাম বদলের রাজনীতিই এখন অন্যতম মুখ্য কর্মসূচী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি জমানায় দেশের একের পর এক স্টেশন, রাস্তা, অঞ্চলের নাম বদল হতে দেখা গিয়েছে। এবার ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম বদলে শ্রীধাম ঠাকুরনগর করার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার নদিয়ার তেহট্টে নির্বাচনী প্রচারে এসে মতুয়াদের মন জয় করতে এমনই ঘোষণা করলেন তিনি। আসলে এভাবে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান শাহ। একদিকে যেমন মতুয়া সম্প্রদায়ের আবেগ উসকে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানো যাবে। তেমনি, চালু থাকবে বিজেপির নামবদলের রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিজেপির নামবদল এবং গেরুকরণের রাজনীতির সূত্রপাত গত বছর। সেসময় বাংলায় এসে কলকাতা বন্দরের নাম বদল করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে রাখেন তিনি। আর এখন শোনা যাচ্ছে, বাংলার একাধিক অতি পরিচিত এলাকার নাম বদলে দিতে চায় গেরুয়া শিবির। নাম বদলের এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। যেমন, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুককে ‘তাম্রলিপ্ত’, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরকে ‘ঈশ্বরপুর’, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরকে ‘ব্রহ্মপুর’ নামেই সাংগঠনিক কাজে মান্যতা দিচ্ছে তারা। এদিকে, বঙ্গের ভোটে এবার বিজেপির বাজি মতুয়া সম্প্রদায়। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় তাই বারবার প্রচারে যাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার সেই লক্ষ্যেই তেহট্টে নির্বাচনী জনসভা থেকে ওই প্রতিশ্রুতি দিলেন শাহ।