গত শনিবার, চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচি কাণ্ডের জেরে বেশ ব্যাকফুটে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই আর যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই নির্দেশিকা দিয়েছে কমিশন। ঘটনার পর পর্যালোচনা করে এবার বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জটলা কিংবা জমায়েত হলেও গুলি চালানো যাবে না বলে জানিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা। বদলে সিআরপিসির ১৫১ বা ১৮৮ ধারায় আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। সেখানেই শীতলকুচির ঘটনার বিষয়টি ওঠে। তখনই গুলি না চালানোর কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না নিয়ে আপত্তিকর কিছু দেখছে না কমিশন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে শীতলকুচির যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
এদিন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, একদফায় বাকি নির্বাচন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কারণ, এই কাজ করতে গেলে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তার আয়োজন করা এইমুহূর্তে আর সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বলেন, “শীতলকুচিতে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে বুথ দখল হয়ে যেত। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।” তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি দফাগুলির প্রচারে জনসভার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে পারে কমিশন। আজ, শুক্রবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক।