একসময় বিপক্ষ দলের পকেটে পুড়ে ফেলা ম্যাচ তিনি একাই দায়িত্ব নিয়ে জিতিয়ে ফিরেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চাপের মুখে দুরন্ত সব ইনিংস, স্টেডিয়াম পার করে দেওয়া ছয়ের সৌজন্যে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে বন্দিত। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে সর্বকালের সেরা ‘ফিনিশার’ মানা হয়। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সামনেই আজ, শুক্রবার, অগ্নিপরীক্ষা চাপ কেটে বেরিয়ে আসার।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে চরম ব্যর্থতার মরসুমের পরে এ বারের আইপিএলেও ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস যাত্রা শুরু করেছে হার দিয়ে। সব চেয়ে বড় কথা, ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধোনি প্রথম ম্যাচে দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেন সাত নম্বরে। যা দেখে সুনীল গাওস্কর সোজাসাপ্টা বলে দেন, ধোনির উচিত আরও আগে ব্যাট করতে আসা। এত নীচে নেমে ঠিক করছে না।
এখন দেখার প্রাক্তন কিংবদন্তির সেই পরামর্শ মেনে কি ধোনি উপরের দিকে ব্যাট করতে আসবেন? তা নিয়ে যেমন কৌতূহল থাকবে, তেমনই নজর থাকবে ব্যাটসম্যান ধোনি কী করতে পারেন, তা নিয়েও। দীর্ঘ দিন ধরেই ধোনির ব্যাটে সেই তেজ দেখা যাচ্ছে না। তিনি কি পারবেন আগের মতো বিধ্বংসী হতে? এদিকে, আইপিএলের বাকি সব দল চেন্নাইয়ের রহস্যময় পিচ ছেড়ে পালাতে পারলেই বোধ হয় খুশি হয়। তবে এই একটাই দল আছে, যারা চেন্নাইয়ের বাইশ গজে খেলতে না পারার জন্য নিশ্চয়ই হতাশায় ভুগছে। যাদের ঘরের মাঠ চেন্নাই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
বছরের পর বছর ধরে চেন্নাইয়ের এই মন্থর, ঘূর্ণি পিচে খেলে অভাবনীয় সব সাফল্য অর্জন করেছে ধোনির দল। গ্রুপ পর্বে সাতটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলা যায়। এই ম্যাচগুলোতে সব সময়ই চেন্নাইয়ের স্পিনার-বন্ধু পিচ তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলা হয়েছে। এ বারে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হচ্ছে। যে কারণে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ নেই ধোনিদের। এমনকি এবারও নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হওয়ায় সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেখাচ্ছে তাঁদেরই।