আসামের অবস্থাই চোখ খুলে দিয়েছে তাঁর। আর তার ফলে দেরিতে হলেও অবশেষে বোধোদয় হয়েছে নদীয়ার দত্তফুলিয়ার কুশবেড়িয়ার কুমুদরঞ্জন বিশ্বাসের। যাঁকে দেখেই বিজেপি করা শুরু করেছিলেন এলাকার অনেকে। প্রসঙ্গত, দু’-দু’বার বিজেপির টিকিটে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য তিনি। প্রায় তিন দশক বিজেপি করার সুবাদে মতুয়া সম্প্রদায়কেও নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমুদরঞ্জন। তবে নিজের শাঁখার ব্যবসার সুবাদে আসামে যাতায়াত থাকায়, সেখানে গিয়ে এনআরসির চক্করে পড়া বাঙালিদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। দেখেছেন, কারও দিন কাটছে ডিটেনশন ক্যাম্পে, কেউ বা ক্যাম্পে যাওয়ার আশঙ্কায় কুঁকড়ে রয়েছেন। সে সব দেখেই এখন ওই বিজেপি নেতার উপলব্ধি, সিএএ-র অর্থ খাল কেটে কুমির আনা। এখন গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষকে সেকথাই বোঝাচ্ছেন তিনি।
কুমুদরঞ্জন বলেন, আসামে না গেলে বুঝতে পারতাম না, সিএএ, এনআরসি কী জিনিস! সেখানকার মানুষ ভয়ে মরছে। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যে কাগজই নিয়ে যাচ্ছে, তা বাতিল। এখানে শরণার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দেবে বলছে। টাকার লোভে যারা নিজেদের শরণার্থী দাবি করবে, তারাই ফাঁদে পা দেবে। সিএএ ঠিক ইঁদুরের কলের মতো। খাবারের লোভে একবার ঢুকলে আর বেরতে পারবে না। এটা বোঝার পরই ঠিক করি, অনেক হয়েছে, বিজেপি আর নয়। তিনি জানান, মাস খানেক আগে প্রীতিলতা কলেজে মতুয়াদের সম্মেলন করেছিলাম। আড়াইশোটি দলের দলপতিদের কাছে আসামের অভিজ্ঞতা বলেছিলাম। সব শুনে তাঁরাও সিএএ-এর বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেন। আমি বহু বছরের বিজেপি কর্মী হয়েও বলছি, এবারের ভোটে সিএএ বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হবে।