বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্য সরকার এনেছিল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। ১৫০০ বেশি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ও স্বাস্থ্য বীমার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করবে বলে জানানো হয়েছিল। এবার এএমআরআই ঢাকুরিয়া হসপিটাল থেকে বিনামূল্যে হার্টের চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক পিকে হাজরা। তিনি ভিডিওটিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এনজিওপ্লাস্টি থেকে শুরু করে প্রেস মেকার বসানো হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
উল্লেখ্য, বাচ্চা থেকে প্রবীণ সকলের জন্যই এই চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় হার্টের চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে হবে AMRI হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে।ওটিপিতে দেখার পর প্রয়োজন হলে রোগীকে ভর্তি করা হবে। শুধুমাত্র হার্টের চিকিৎসা পাওয়ার জন্যই তিনি তাঁর নম্বরটি দেন। নম্বরটি হল ৯৮৩০০৭০৩৩৭। চিকিৎসক পিকে হাজরা জানান সকাল ১১টা থেকে একটার মধ্যে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি অবশ্য মনে করিয়ে দেন এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হার্টের চিকিৎসা চলছে কিন্তু ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে কী হবে তা কিন্তু তিনি জানেন না।
অর্থাৎ, অবিলম্বে যাদের হার্টের কোনো রকম বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁর এই ভিডিওটিতে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, “thank you sir, it is very pleasure to hear that in our state the heart treatment is absolutely free of cost.” একজন লিখেছেন, “খুব ভালো। কেও যেন নিজের প্রিয়জনকে না হারান।” আবার একজন লিখেছেন, “AMRI হসপিটাল আপনাদের আমাদের মত সাধারণ জনগনের হেলথ কেয়ারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ইউজ করতে পারার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আবার একজন লিখেছেন আমি নিজে দেখেছি এই কার্ড নিয়ে এসে রোগী চিকিৎসা পাচ্ছে। একজন লিখেছেন ,আগে বললে অনেক ভাল ছিল। স্যার অনেক পরেই প্রচার করলেন।”
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু হতেই মিশ্র মতামত রাজ্যজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে এখনও। তবে এটা ঠিক, বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসার কথা ভাবলেই বিশাল অঙ্কের খরচের কথা মধ্যবিত্তদের মাথায় প্রথমেই চলে আসে। সেক্ষেত্রে ক্যাশলেস হেলথ স্কিম এর মাধ্যমে জটিল অস্ত্রোপচার ঢাকুরিয়া AMRI হাসপাতলে করা হলে সেক্ষেত্রে হয়তো অনেক মানুষেরই জীবন রক্ষা পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন অধিকাংশ।