সরকার থেকে দল, সব ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এবার এমনটাই জানালেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, ‘সরকার হোক কিংবা দল, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নন, দলের বাকি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তিনি যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত নিজেই নেন। যাঁরা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল চালাচ্ছেন, তাঁরা আসলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
শুধু তাই নয়। শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের দলত্যাগ অপ্রত্যাশিত নয় বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী। তাঁর কথায়, ‘গত দেড় বছর ধরে তৃণমূলের একাংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিলেন। সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন। ওই সব সুবিধাবাদী নেতাদের চরিত্র বুঝতে পেরে দলের শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁদের বিভিন্ন পদ থেকে হঠিয়ে দিয়ে ক্ষমতা সঙ্কুচিত করেছিল। যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁরা কার্যত অকৃতজ্ঞ। গত দশ বছর ধরে ক্ষমতা ভোগ করার পরে ভোটের মুখে দল বদল করেছেন।’
তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে চলতি বিধানসভার ভোটে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তিনিই শেষ কথা বলেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তাও খারিজ করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল কীভাবে বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে, কোন-কোন ইস্যুকে সামনে রেখে লড়বে, তার রণনীতি ঠিক করেছি আমরা। কিন্তু সাংগঠনিক কাজকর্মে কিংবা দলীয় প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করিনি। কারণ দল কীভাবে চলবে কিংবা কারা প্রার্থী হবেন, তা ঠিক করা আমাদের কাজ ছিল না।’