বাংলায় চতুর্থ দফার ভোটের মুখে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের কেন্দ্র হাওড়ার ডোমজুড়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘ডোমজুড়ের কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ, গত বছর এখানে গদ্দারকে প্রার্থী করেছিলাম। গদ্দার জনগণের টাকা মেরেছেন। আমায় বলেছিল, ওকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট দেওয়া হোক। যাতে আরও কমিশন নিতে পারে। সেচ দফতরে দুর্নীতি করে অনেক টাকা করেছে। অভিযোগ আসায় ওকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে দিই। পরে বন দফতর দিই। বুঝতে পারিনি তার ভিতরে এত প্যাঁচ রয়েছে। কলকাতায়, দুবাইয়ে অনেক সম্পত্তি করেছে। যাও মানুষকে জবাব দাও। তারপর ভোট চাও। আগে জানলে ওকে অনেক আগেই সরিয়ে দিতাম। এখন আবার গানের ক্যাসেট বের করছে… সবই নাকি উনি করেছেন!
এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘ সব আমি করে দিয়েছে আর একটা গদ্দার আছে এখানে বলে নাকি ও করেছে। সেচ দফতরে প্রচুর দুর্নীতি করেছে। প্রমাণ আর অভিযোগের ভিত্তিতেই সরিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর বন দফতরে দিলাম। আমাকে বলছে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর দিন, আসলে ওখানে গেলে কামানিটা বেশি হবে তো। পাঁচ বছরে কত সম্পত্তি করেছে? দুবাই থেকে কলকাতা কত বেনামি সম্পত্তি করেছে? কলকাতায় কত সম্পত্তি করেছে? সব খোঁজ রাখি। আমার করে দেওয়া চাকরি গুলোতেও নিজে কারসাজি করেছে। আপনাদের বলছি গদ্দার কে হারান। ডোমজুড় আমার হৃদয়ের একটা অংশ।’
এর আগেও একাধিক জনসভা থেকে নাম না করে গদ্দার বলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। বন দফতরের নিয়োগে দুর্নীতি কিংবা সেচ দফতরে দুর্নীতি। ভুরি ভুরি অভিযোগ নিয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে নাম বা করেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মতই হাইভোল্টেজ লড়াই ডোমজুড়ে। যেখানে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখী এলাকার দাপুটে নেতা কল্যাণ ঘোষ। বিগত দশ বছর তৃণমূলে থেকে রাজীবের উন্নয়ন বনাম তৃণমূলের নেতার লড়াই দেখতে তৈরি হাওড়ার তথা গোটা বঙ্গের মানুষ। আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ রয়েছে ডোমজুড় কেন্দ্রে।