মঙ্গলবারই কোচবিহারে জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখান প্রচারে গিয়ে তাঁকে এবং তাঁর দলকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গেই সরব হলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে উদ্বাস্তু সমস্যা, এনআরসি থেকে বিজেপির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে প্রচারে এসে বারবারই অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অমিত শাহ এসে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সীমান্ত এমনই সিল করা হবে যে মানুষ তো দুরের কথা পাখিও ঢুকতে পারবে না। ওই বক্তব্যের রেশ ধরেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা। কোচবিহারের সভায় আজ মমতা বলেন, আসামে এনপিআর, এনআরসির নাম করে ১৪ লাখ বাঙালিকে ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছে। বলুন তো তারা আপনাদের ভাইবোন নয়? আপনাদের কষ্ট হয় না? এরা ক্ষমতায় এলে কোনও দিন হয়তো এআরসি করবে। বলবে তুমি বাদ ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাও। আমি করতে দেব না। বাংলায় সব মানুষ ভারতের নাগরিক।
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা আরও বলেন, ধর্ম নিয়ে ভাগাভাগি করে এরা। কখনও এরা বাঙালির সঙ্গে রাজবংশীদের লড়াই লাগিয়ে দেয়। কোনও ভাগাভাগি করবেন না। আমিও ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। আগে এসব কথা বলতাম না। এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি সবার ধর্ম মানি। আমার খাবার তৈরি করে এক তপসিলি ঘরের মেয়ে। বিজেপি এটা চায় না। বিজেপি নেতাদের ধর্মস্থানে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপি ছদ্মবেশী শয়তান। ভোটের সময়ে মন্দিরে মাথা ঠেকায়। আর পেছনে অন্য সব খারাপ কাজ করে। আসামের লোকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখেছে। জিতলে তো ওরা আপনাদেরও একই জিনিস করবে। তাই ডিটেনশন ক্যাম্পে যদি না থাকতে চান, বিজেপিকে ভোট দেবেন না।