২০১৪ সালে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখার ১ বছরের মধ্যেই সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পটির আর্থ-কারিগরি অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে প্রকল্পটির জন্য তারা কোনও অর্থ বরাদ্দ না করায় কাজ আটকে ছিল। বন্যাপ্রবণ দুই মেদিনীপুরের মানুষও দীর্ঘদিন ধরে নদী ও খাল সংস্কারের জন্য কার্যত চাতক পাখির মতো অপেক্ষারত ছিলেন। অবশেষে শুরু হল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। নদী ও খাল সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত দুবাৰ্চটী, ক্ষীরাই, বাকসী, নিউ কসাই, চন্দ্রেশ্বর, গােমরাই, পায়রাশি প্রভৃতি নদী ও খালগুলি রাজ্য সেচ দফতরের অর্থে চলতি বছরই সংস্কার হবে। ফলস্বরূপ দুই মেদিনীপুর জেলার পাঁচটি ব্লকে বন্যার প্রকোপ অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির দীর্ঘ আন্দোলনের পর শেষ পর্যন্ত কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। রাজ্য সেচ দফতরের বরাদ্দ অর্থে গত ২০১৮ সালে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পলাসপাই নদী সংস্কার হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে ২০২০ সালে ২৬.৫ কিমি দীর্ঘ দুবার্চটী ও ২১ কিমি দীর্ঘ নিউ কাঁসাই নদী এবং ২৬.৭ কিমি দীর্ঘ ক্ষীরাইয়ের সংস্কার হয়।
বাকি বেসিন স্কীমের অন্তর্গত খাল ও ১৪ কিমি দীর্ঘ চন্দ্রেশ্বর, ৮ কিমি দীর্ঘ পায়রাশি, ৪ কিমি দীর্ঘ গােমরাই খালগুলি প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে জোর কদমে সংস্কারের কাজ চলছে। কংসাবতী সংলগ্ন উপরােক্ত নদী ও খালগুলি পূর্ণ সংস্কারের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ময়না এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর -১ ও ২ ব্লক এলাকার বন্যা সমস্যা অনেকটা কমবে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। আবার, স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, বন্যার প্রকোপ কমার পাশাপাশি রূপনারায়ণের জলে এলাকার ধান, ফুল, সবজি চাষেরও অনেকটাই উপকার হবে।