এবার ফের একবার ত্রাতার ভূমিকায় মমতা সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দুর্ঘটনার জন্য পায়ের গোড়ালিতে সংক্রমণ হয়েছিল। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পায়ের অপারেশন ও প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ভেলোর থেকে বাড়ি ফিরলেন নিউ ব্যারাকপুুর পুরসভার বাসিন্দা এক মোবাইল মিস্ত্রি। নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার বলেন, বিকাশবাবুর অসুস্থতা জানার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়। প্রায় দু’মাস বাদে তিনি চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরায় খুব ভাল লাগছে।
প্রসঙ্গত, নিউ বারাকপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খড়ের মাঠের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল পেশায় মোবাইলের মিস্ত্রি। জানুয়ারি মাসে তাঁর ডান পায়ের গোড়ালিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। অভাবের সংসার হলেও সুস্থ হওয়ার তাগিদে তিনি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে প্রায় ১১ দিন ভর্তি থাকলেও পায়ের সংক্রমণ খুব একটা কমেনি। উল্টে হাসপাতাল পাঁচ লক্ষ টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত ধারদেনা করে ওই টাকা মিটিয়ে বিকাশকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকেরা। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রী অনামিকা মণ্ডল তাঁকে নিয়ে ভেলোর যান। তখনই নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার উদ্যোগে দ্রুত বিকাশবাবুর পরিবারের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হয়। এজন্য প্রশাসনকে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও।