রায়দিঘির বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের থেকে টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল দল। শনিবার রায়দিঘির সভা থেকে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এখানে বিজেপি যাঁকে প্রার্থী করেছে, তিনি আমাদের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যেহেতু কলকাতায় থাকেন তাই আমরা তাঁকে টিকিট দিইনি। তারপর তিনি বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। যাক গে! আমাদের কিছু যায় আসে না। বিজেপির তো সবটাই ধার করা।’
প্রসঙ্গত, রায়দিঘির গত দু’বারের বিধায়ক ছিলেন দেবশ্রী রায়। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হয়েও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেননি অভিনেত্রী, এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে রায়দিঘির অন্দরে কান পাতলেই। এবং তা মুখ্যমন্ত্রীর কান অবধিও পৌঁছেছিল। এবার তাই তাঁকে আর টিকিট দেননি মমতা। তিনি বলেন, ‘দেবশ্রীকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল। তাই এবার ওকে আমরা টিকিট দিইনি।’
এদিকে, শান্তনু বাপুলি ছিলেন তৃণমূলের নেতা। রায়দিঘি বিধানসভা এলাকায় দেবশ্রীর পুরো কাজকর্ম তিনি দেখাশোনা করতেন। তা ছাড়া তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার অবিসংবাদী কংগ্রেস নেতা সত্য বাপুলির ছেলে। এদিন সে নিয়েও তাঁকে কটাক্ষ করেন মমতা। রায়দিঘির সমাবেশে জনতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে সত্য বাপুলির ছেলে, পিছনে তুমি গেলে।’