নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই এবার আগামী দফার কেন্দ্রগুলিতে প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ যেমন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় জোড়া সভা করেন তিনি। এবং সেখান থেকেই যেমন প্রার্থী বাছাইয়ের কারণ তুলে ধরলেন তিনি, তেমনি অস্ত্র করলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাঁর তৎপরতাকেই। একই সঙ্গে বিজেপিকে বিঁধলেন মেরুকরণ নিয়ে। নিশানায় নিলেন আব্বাস সিদ্দিকিকেও।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সময়ে গেরুয়া ঝড়েও অটুট ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ঘাসফুলের অস্তিত্ব। ৩১টি আসনের ৩১ টিতেই লিড ছিল তৃণমূলের। তাই দুর্ভেদ্য এই মাটিতে পা রেখে শুরুতেই এদিন মমতা কবুল করেন, ‘দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা তৃণমূলের জন্মদাত্রী মা।’
পাশাপাশি কুলপির সভা থেকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘উম্পুনে আমরা ২০ লক্ষ ঘরবাড়ি করে দিয়েছি। কেউ যদি এমন থাকেন টাকা পাননি, তাঁরা টাকা পাবেন। উম্পুন হোক বা ফণী, এমনকি সুনামিতেও আমি সাহায্য করেছি। রেলমন্ত্রী হিসেবে আয়লাতে আমি ছুটে এসেছিলাম। নবান্নে বসে যদি সেদিন পাহাড়া না দিতাম তাহলে কী হত, কত লোক মারা যেত!’
এদিনও নিজের নামে ভোট প্রার্থনা করে মমতা বলেন, ‘বাংলা বাংলার হাতে থাকবে না বাংলার বাইরে যাবে তা ঠিক করার নির্বাচন একটা। আমি একা সরকার গড়তে পারব না। একে একে ২০০ পেতে হবে আমায়।’ আবার রায়দিঘির সভায় তিনি জানান কেন দেবশ্রী রায়কে এবার আর প্রার্থী করেননি তিনি। এমনকি এ-ও জানিয়ে দেন বিজেপির প্রার্থীও তাঁর থেকে টিকিট চেয়েছিল।
আবার বিজেপি যখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলছে, তখন মমতার টিপ্পনী, ‘ওরা ব্যাঙ্কের সুদের হার ফের কমিয়ে দিয়েছিল, হঠাৎ ভোটের মুখে স্থগিত রেখেছে। গ্যাসের দাম দুই হাজার টাকা করবে। দাঙ্গা করে মানুষের দাম কমিয়েছে।’
এদিন আব্বাস সিদ্দিকিকেও তুলোধনা করেন মমতা। নাম না করে আব্বাসকে ‘ফুরফুরা শরিফের চ্যাংড়া’ আখ্যা দিয়ে মমতার হুঙ্কার, ‘সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে ডাকাত এসেছে। সংখ্যালঘুর ভোট হলে বিজেপির সুবিধে। এই করে বিহারে হারিয়েছে। বাংলায় হারাতে দেবো না। সংখ্যালঘু ভাইয়েদের বলব কসম খেয়ে বলুন এদের একটিও ভোট দেবেন না।’