দ্বিতীয় দফায় ভোট ছিল তাঁর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এবার সেখানে ভোট মিটে যাওয়ার পরদিনই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে কোচবিহারের দিনহাটার সভা থেকে মোদী-শাহদের ‘প্রতিহিংসাপরায়ন’ রাজনীতি নিয়ে তোপ দাগলেন তিনি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা, এজেন্সিকে দিয়ে বিজেপি কীভাবে বিরোধীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, জনসভা থেকে সেসব কথাই তুলে ধরেছেন মমতা। তিনি বলেন, তামিলনাড়ু, অসমের মতো রাজ্যেও বাংলার ‘স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। আর তা করতে গিয়ে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আয়কর, ইডি বা সিবিআই-এর মতো সংস্থাকে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ইলেকশন পর্যন্ত সহ্য করব। ইলেকশনের পর এই গুণ্ডাগুলো কোথায় যায়, সেটা দেখব। অমিত শাহ কী করবে, দেখে নেব। উনি তো দেশ চালায় না, শুধু দাঙ্গা করে বেড়ায়। প্রধানমন্ত্রী নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সামলান।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, এমকে স্ট্যালিন, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, হেমন্ত সোরেন, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো দেশের বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। চিঠিতে তিনি বলেন, মোদী ও বিজেপি বিরোধী স্বরগুলিকে দমন করে একটি কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে একজোট হওয়া প্রয়োজন। এদিনের সভা থেকেও সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘তামিলনাড়ুর জন্য একটা বার্তা দিতে চাই। তামিলনাড়ুর নেতারা আজ সকাল থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কারণ শাহরা স্ট্যালিনদের (এমকে স্ট্যালিন) সবার বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স রেড করছে। ওখানে এখন ভোট তো। কোথায় উত্তরপ্রদেশ, বিহারে তো এসব করো না। সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করছে। শুনুন অমিত শাহ ভোটের পর চলে যাবে, আমরা সরকার গড়ব। সিআরপিএফ ভাইদেরও বলছি। সাধারণ মানুষ এফআইআর করলে আমার কিন্তু কিছু করার থাকবে না।’