বাংলায় দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বুধবার জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে জোট বেঁধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বুধবার জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে জোট বেঁধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে কাশ্মীরের পিডিপি নেতৃত্ব। কংগ্রেস জানিয়েছে, এই প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার রাজ্যে আসছেন মমতার সমর্থনে প্রচারে। তারপর শোনা যায়, অমিত শাহের সঙ্গে শরদের একটি বৈঠক হয়েছে। এদিকে, ১ এপ্রিল রাজ্যে শরদ পাওয়ারের আসবার কথা থাকলেও, তিনি আসেননি। এনসিপি জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারাঠা স্ট্রংম্যান রাজ্যে পা রাখতে পারেনি। তবে বিজেপি বিরোধিতায় মমতা যে ডাক দিয়েছেন তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
এনসিপির শরিক দল শিবসেনার সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভাবনা চিন্তা করছেন। তাঁর কথায়, ‘আসাম ও বঙ্গের ফল অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতির দিক নির্ধারণ করবে’। তাঁর কথায়, ‘আগেও গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। এই প্রথম নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা লিখেছেন। এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করব’। এআইসিসি-র মঞ্চ থেকে মুখপাত্র রাজীব শুক্ল বলেন, ‘কংগ্রেস সংবিধান রক্ষায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায় বিরোধী ঐক্যের কথা বলছে। রাহুল গাঁধী অনেক দিন ধরেই এ কথা বলছেন। মমতা কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন’।
পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি অবশ্য মমতার চিঠি টুইটে তুলে জানিয়েছেন, ‘আমি ওনার সঙ্গে একমত। দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখতে এবং মূল্যবোধ অটুট রাখতে বিরোধীদের একজোট হওয়া জরুরি’। মমতার প্রতি তাঁর বক্তব্য, ‘আহ্বান জানানোর জন্য ধন্যবাদ। সংবিধান নির্দেশিত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করতে চাইছে কেন্দ্র। আপনার আশঙ্কা বুঝি এবং তা ভাগ করে নিতে চাই’।