নন্দীগ্রামের ভোট শেষ হতেই পরবর্তী দফার প্রচারে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ডেস্টিনেশান উত্তরবঙ্গ। নজরে ৫৪ আসন। দিনহাটায় তাঁর প্রথম সভায় ভোটপ্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গও এল বারংবার। আত্মবিশ্বাসী মমতা বললেন, “আমিই নন্দীগ্রামে জিতব। কিন্তু শুধু আমি জিতলেই হবে না, ২০০-র বেশি আসনে জিততে হবে।”
গতকালই নরমেগরমে মিটেছে নন্দীগ্রামের ভোট। জয় নিশ্চিত মানলেও মমতা ভোট পরিচালনার সামগ্রিক পদ্ধতিতে খুশি নন একথা বুঝিয়ে দিলেন এদিনও।তাঁর কথায়, বিনম্র শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি এই ভোট নির্বাচন কমিশন নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিচালনা করছে।
নন্দীগ্রামে ভোটের আগের দিন রাতে তাণ্ডব হয়েছে বলে এদিনও অভিযোগ করেন মমতা। মমতা বলেন, ‘সারারাত ওরা তাণ্ডব করেছে আবু তাহের, আব্দুর সামাদের বাড়ি গিয়ে’। পাশাপাশি এই ধরনের অপরাধে জড়িত দুষ্কৃতীদের জন্য তাঁর কড়া বার্তা, ‘নির্বাচন পর্যন্ত সহ্য করব, তারপর দেখব গুণ্ডাগুলি কোথায় যায়। অমিত শাহ কোথা থেকে বাঁচাবে’। মমতার অভিযোগ সিআরপিএফ জওয়নরাও কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে এই ধরনের নাশকতায় জড়িয়ে পড়ছে। সনির্বন্ধ অনুরোধ করে বললেন, বিএসএফ, সিআরপিএফকে আমার অনুরোধ এমনটা যেন ওরা না করে।
প্রসঙ্গত গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিপ্পনীর সুরে অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে লড়ার পরামর্শ দেন। মমতা আজ উত্তর ফিরিয়ে বললেন, ‘আমি নন্দীগ্রাম থেকেই জিতব আপনাদের মুখে চুনকালি দেবো। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের প্রয়োজন নেই। আমি আপানাদের দল করিনা যে আপনি বলে দেবেন কোথায় দাঁড়াব’।