পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তপন দাশগুপ্ত। জয় নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হুগলীর সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এমনকি প্রচারে বেরিয়ে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও দাবি তপনবাবুর। গত ৫ বছরে কী কী কাজ করেছেন এবং ফের জিতলে কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন, সেই সবকিছুই তুলে ধরলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জনগণের সাড়া ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সুরেই বললেন, “ব্যাপক সাড়া। সবাই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। আপনি উন্নয়ন করেছেন, তাই আপনার সঙ্গে আছি।”
গত ৫ বছরে এমন কোন কাজ করেছেন যার জন্য মানুষ ফের আপনাকে ভোট দেবেন? তপনবাবুর উত্তর, “স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে। বিএড করছি, আইটিআই করছি। গ্রামে হাই মার্স লাইট করেছি, যার অর্ধেক ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। গ্রামে মাটির তলা দিয়ে পাইপ লাইনে জলের সংযোগ দিয়েছ। পৌরসভা অঞ্চলেও সেই কাজ হয়েছে।” পাশাপাশি যোগ করেন, “বাড়ি বাড়ি জলের কাজটা ৫ বছরের মধ্যে পুরোটাই হয়ে যাবে। দেড়কোটি যে চাকরির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৪৪ হাজার আমার এলাকায় হবে। ৫ বছরে আর বেকার থাকবে না। এছাড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে। তার জন্য জায়গাও দেখা হয়ে গিয়েছে।”
গেরুয়াশিবিরকে কটাক্ষ করে তপনবাবু জানান, “বিজেপির কোন হাওয়া নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়া বইছে। নির্বাচন একেবারেই কঠিন না। দিদি ২২৪-২২৫ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন।” দলবদলু নেতাদের একহাত নিয়ে তিনি জানান, “তৃণমূলের থেকে খেয়েদেয়ে ভোগ করে বিজেপিতে গেছে। এলাকায় কোনও জনসেবা নেই। এগুলো এলাকার মানুষ জানেন। পুরনো বিজেপি কর্মীরাও নামেনি। আমার সঙ্গে রোজ দেড় দুহাজার লোক রোড শো করছে। ওদের সঙ্গে ৩০টা লোক। কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। ১০০ নয়, ১১০ শতাংশ নিশ্চিত আমিই জিতব।” কোভিড আশঙ্কা নিয়ে তপনবাবু জানান, “করোনায় সময় ১৯২ দিন মানুষকে খাইয়েছি। আমার এলাকায় করোনা হয়নি। বাঁশবেড়িয়ার মানুষ জানেন। তবুও আমরা বিধি মেনেই প্রচার করছি।”