বুথ দখলের অভিযোগ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বয়ালের বুথে। সেখানে যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রায় দু’ঘণ্টা থাকার পর বুথ থেকে বেরোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন ও বাহিনীর আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি বুথ থেকেই নিজে হাতে চিঠি লিখে কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এ দিন ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে সরাসরি বয়াল পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলাকালীন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যেই জমায়েত করতে দেখা যায় যুযুধান দু’পক্ষকেই। পরিস্থিতি ক্রমে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। বাহিনীর অপার্যপ্তাও ধরা পড়ে। মমতা রাজ্যপালকে ফোন করে অভিযোগ জানান। আদালতে যাওযার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। মমতা প্রশ্ন তোলেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে এত লোক কেন? এরই পাশাপাশি মমতা বলেন, অন্তত ৬৩টি অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। প্রায় পনেরো মিনিট কথা বলেন তাঁরা।
নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে বলেন, ‘আগে এখান থেকে লোক সরাও। তারপর আমি এই জায়গা ছাড়ব। তোমাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাহলে এই অবস্থা কেন?” নগেন্দ্র ত্রিপাঠী উত্তরে বলেন, “আমি নিশ্চিত করছি আর কোনও অশান্তি হবে না’। এই সময়ে জেলা পুলিশ সুপার সুনীল যাদবও চলে আসেন আসেন। মমতা তাঁকেও প্রশ্ন করেন, ‘সকাল থেকে এই কেন্দ্র থেকে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি’? নগেন ত্রিপাঠী কথাবার্তার মধ্যেই উর্দি দেখিয়ে বলেন, ‘ম্যাডাম উর্দি ধরে বলছি আর এমন অশান্তি হবে না’। মমতা প্রশ্ন করেন, কে বা কারা এখানে ছাপ্পা ভোট করল? নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমি দায় নিচ্ছি, এর পর ভোট দিতে আর অসুবিধে হবে না’।
এই সময়ে মমতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবো’। শুধু নিজের নয়, এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হতেই বুথ ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থকদের লক্ষ্য করে হাত নাড়তেও দেখা যায়। বহু সমর্থকই নিরাপদ পরিস্থিতিতে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান।