বাইরে থেকে গুন্ডাদের আনা হয়েছে নন্দীগ্রামে। বলে আগেই অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা ওই আসনের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বললেন, ভোট মিটে গেলে ওই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। বুধবার হুগলির গোঘাটে তিনি বলেন, “আমি গুন্ডাগুলোর নাম, চেহারা সব ভিডিয়োতে ভাল করে তুলে রেখে দিয়েছি। বাংলার ইলেকশনটা হয়ে যাক, তারপরে আমি দেখব, কত ধানে কত চাল।” এখানেই থামেননি মমতা। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন তিনি। বলেন, “কোন গদ্দার তোমায় কতটা শেল্টার দিতে পারে? কোথায় যাবে দিল্লী? না কোথায় যাবে বিহার, না কোথায় যাবে উত্তরপ্রদেশ, না কোথায় যাবে রাজস্থান? যেখানেই যাও রবীন মান্নাকে খুন করে যদি ভেবে থাকো ছাড় পাবে, কান ধরে টেনে নিয়ে আসব।” এই বক্তব্যের ঠিক পরে পরেই মমতা বুধবার বলেন, “আরও অনেক কেস আছে, কেস খুঁড়ে বের করব। করিনি ভদ্রতা করে। অত বেশি বাড়াবাড়ি করতে যেও না।”
পাশাপাশি মমতা বুধবার বলেন, “আমি যদি আমাদের ছেলেদের বলি তাড়া কর, তাতেই সব দৌড়ে ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে। আমি কিছু করছি না মানে এটা আমার দুর্বলতা নয়। আমি চাই, নির্বাচনটা শান্তিতে হোক।” উল্লেখ্য, গত ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আঘাত পাওয়া নিয়ে বুধবারও আক্রমণ শানান মমতা। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার তাঁকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলা নিয়েও সরব হন। কমিশনের উদ্দেশে বলেন, “আমার পা জখম করার পরেও কাল আমার গাড়ি ঘিরে তাণ্ডব করেছে। কিন্তু আপনারা কোনও ব্যবস্থা নেননি।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে রেয়াপাড়ার কাছে মমতার কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে। তার পর মহম্মদবাজারেও তাঁকে ঘিরে একই ধ্বনি শোনা যায়। বিজেপির কর্মী, সমর্থকরাই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ওই ধ্বনি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ধ্বনি শুনে তৎক্ষণাৎ মমতার কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরে সোনাচূড়ার সভায় দলীয় কর্মীদের মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।