গতকাল দক্ষিণবঙ্গের গোসাবা, সাগর অঞ্চলে জনসভা করেছিলেন। আর আজকেই তিনি চলে গেলেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। সেখানে সিতাইতে জনসভা করলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভার শুরু থেকেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ‘শুনানি’ শুরু করেন অভিষেক। তাঁর আক্রমণ, “কালীপুজোর আগে লাইটের সামনে গিজগিজ করে শ্যামাপোকা। বিজেপি হল ভারতের শ্যামাপোকা। রাজ্যে ভোটের আগে এদের দেখা যায়, অন্য সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে সারা বছর আপনি পাবেন।”
তথ্য পরিসংখ্যান নিয়ে মাঠে নামেনি কেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপি? এই প্রশ্নও তোলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “বিজেপির দাবি, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমরা শ্রমিকের দল, কৃষকের দল, আঞ্চলিক দল। তাহলে তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান কী করেছেন গত ৭ বছর ধরে। ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট কার্ড দেখিয়ে উন্নয়নের নিরিখে লড়াই হোক। ১০-০ গোল দিয়ে হারাতে না পারলে আমি আর রাজনীতির ময়দানে পা রাখব না।”
এরপর তিনি বলেন, “একদিকে বহিরাগত নেতা বলছেন আমাদের ৫ বছর সুযোগ করে দিন। আমরা সোনার বাংলা গড়ে দেখাব। অন্যদিকে, বাংলার মেয়ে বলেছেন ১০ বছরে কাজের হিসাব নিন, জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন। আপনি কাকে বাছবেন, সেই সিদ্ধান্ত আপনার হাতেই রয়েছে।” মমতাই বাংলাকে উন্নয়নের চালকে বসাবেন বলে এদিন রীতিমত চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক। বিনা পয়সার ভাষণ, নাকি বিনা পয়সার রেশন, তা বেছে নিতে হবে কোচবিহারের মানুষকেই, দায়িত্ব দেন তিনি।
সিতাইয়ের সেই সভামঞ্চ থেকেই অভিষেকের দাবি, “বিজেপি এখন সকলের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলছে। হাত জোর করে বলছি, সেই টাকা ফেরাবেন না। ওটা আমার-আপনারই টাকা। তাই সেটা নিয়ে নেবেন। কিন্তু ভোটের বাক্সে ফলাফল উল্টে দেবেন। বড় ফুল থেকে চুপচাপ টাকা নেবেন, আর ছোট ফুলে ভোট দেবেন। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা কী, তা ওঁদেরকে ভোটবাক্সেই বোঝাতে হবে। পাশাপাশি, এদিন ফের বিজেপির ইস্তেহার নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, “সেখানে হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে চলে যাচ্ছে। সভার পিছনে বাংলায় কী লেখা রয়েছে, তা পড়তে পারছে না আবার বলছে সুনার বাংলা গড়বে। সোনার পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারছে না।”