ভোটের মুখেই গুরুতর অভিযোগ। টাকার প্রলোভন দিয়ে এক নির্দল প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে বিজেপি, এবার এমনই অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। যার ভিত্তিতে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে তারকেশ্বরের রাজনীতি। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এই সাংঘাতিক অভিযোগ তুলেছেন খোদ নির্দল প্রার্থী সুকুমার খাঁড়া।
উল্লেখ্য, বিজেপির প্রবীণ নেতা হিসেবেই পরিচিত তারকেশ্বরের সুকুমারবাবু। বিগত ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে এখানে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু দলে আদি কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমছে। বরং দলবদলকারীরাই প্রাধান্য পাচ্ছেন। এবার তিনি টিকিটের ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু সেই সম্মান না পাওয়ায় অপমানে বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ ৩৭ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। বর্তমানে জনসঙ্ঘ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক নারকেল গাছ।
তাঁর অভিযোগ, “বিজেপির পক্ষ থেকে টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে যাতে আমি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করি। আমাকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেছেন বিজেপির আরামবাগ জেলার সাংগঠনিক সহ সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী ও বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ দাস। বর্তমানে অবশ্য তাঁরা দু’জনেই ভোল পাল্টে দলের হয়ে নির্বাচনী কাজে সামিল হয়েছেন।” এর পিছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সুকুমারবাবুর অভিযোগ। তিনি বলেন, “এখন আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে আমি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করি।”
একরাশ ক্ষোভের সঙ্গে সুকুমারবাবু জানান, “প্রার্থী না করলেও আমাকে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া যেত। সেই আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু তাকেও গুরুত্ব দেয়নি দল। বাধ্য হয়েই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে।” তাঁর দাবি, তারকেশ্বরে বিজেপির আদি কর্মীরা আমার সঙ্গেই রয়েছেন। “আমি প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে থাকলে তারকেশ্বর থেকে বিজেপির জেতা কঠিন। এটা বুঝতে পেরেই এখানকার বর্তমান নেতৃত্ব আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে।” জানিয়েছেন সুকুমারবাবু।