ক্রমবর্ধমান ভোটের উত্তাপ। শেষ দিনের প্রচারেও নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক আঁচ বহাল রইল পুরোদমে। সন্ধে ৬টায় প্রচার শেষের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেয়াপাড়ার বাড়িতে ফেরার সময়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ফের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। সকালেও একবার এমনই ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর গাড়ির সামনে জনা কয়েকজন লোক ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলেন। সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার সময়ে রেয়াপাড়ায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতেও মেজাজ হারাননি তিনি। উলটে নিরাপত্তা নিয়ে, নির্বাচনী বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা।
এদিন নির্বাচনী প্রচারের শেষ সময় ঠিল সন্ধে ৬টা। তারপরই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় যে বাড়িতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা সেখানকার প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত রয়েছেন, সেই বাড়ির দিকে রওনা হন গাড়ি নিয়ে। কিন্তু বাড়িতে প্রবেশের কিছুক্ষণ আগেই একদল লোক কার্যত তাঁর গাড়ির পথরোধ করেন। ঘিরে ধরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য গাড়িতে চুপ করেই বসেছিলেন। পরে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলে তিনি যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “প্রচারের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরও এই ঘটনা কেন? কোথায় পুলিশ? কোথায় নির্বাচন কমিশনের লোকজন? আপনারাও দেখছেন। আমি এই ঘটনার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।” এরপরই তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, এরা সবাই বহিরাগত দুষ্কৃতী। এখনও এরা এলাকায় ঢুকছে কীভাবে, তা তো কমিশনকে দেখতে হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এমনকী নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়ার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে এই স্লোগান দেওয়া হয়। তাতে তিনি মঞ্চে বক্তব্য না রেখেই চলে যান। এবার নন্দীগ্রামে প্রচারের শেষ দিনেও বারবার তাঁর সামনেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উঠল। যার নেপথ্যে বহিরাগত যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের মুখে কি নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।