সবে মাত্র প্রথম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আসামে। কিন্তু এরই মধ্যে আসামের আটটি শীর্ষ সংবাদপত্রে বিজেপি এমনই একটি অ্যাড ছাপিয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে আসামে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম দফার ওই ৪৭টি আসনেই জিততে চলেছে তারা। আর এ নিয়েই এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনওয়াল, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত কুমারদাসের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাল কংগ্রেস। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে পুলিশের এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি ওই আটটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে তারা।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই প্রথম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আসামে। প্রথম দফায় ১২টি জেলার ৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবং এরপরই আসামের আটটি শীর্ষ সংবাদপত্রে বিজেপি একটি অ্যাড ছাপায় যেটি দেখতে ‘খবর’-এর মতো। এবং সেই অ্যাডে দাবি করা হয়েছে যে আসামে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম দফার নির্বাচনের ৪৭টি আসনেই জিততে চলেছে বিজেপি। এবং এই অ্যাডের বিরুদ্ধেই কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্ত আট সংবাদপত্রকে এই অ্যাডের প্রেক্ষিতে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হাত শিবিরের অভিযোগ, আসামে হারতে চলেছে বুঝেই ভোটারদের প্রভাবিত করতে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে বিজেপি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামের কংগ্রেস নেতা তথা দলের লিগাল ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান নিরন বড়ুয়া বলেন, ‘আদর্শ আচরণবিধির এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে স্পষ্ট ভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটা একটি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত ছিল। এর মাধ্যমে রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করে পরবর্তী দফার ভোটের ফল বদলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’ উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৭ মার্চের আগে আসামের ভোট নিয়ে কোনও রকম সমীক্ষা বা পূর্বাভাস করা যাবে না।