বিরুলিয়া বাজারে আঘাত পাওয়ার ১৮ দিন পর, রবিবারই নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিয়েছেন, ভোট করিয়েই তিনি নন্দীগ্রাম ছাড়বেন। আর সেই নন্দীগ্রাম থেকে জিতে ছাড়বেনই তিনি। তবে, বিরুলিয়া বাজারে তাঁর সেই আঘাত যে ষড়যন্ত্রেরই ফল, তা নিশ্চিত বলেই জানাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই ষড়যন্ত্রের কারিগর যে তাঁর একদা সেনাপতি, বর্তমানে প্রবল প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী, তাও স্পষ্ট করে দিচ্ছেন তিনি। সোমবার নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুর নাম না করে মমতা ফের বলেন, ‘তোমার নির্দেশ ছাড়া আমার পায়ে লাগত না।’
যে বিরুলিয়া বাজারে তার পায়ে আঘাত লেগেছিল, রবিবার সেখানেই হাজির হন মমতা। সেখান থেকেও তিনি বলেছিলেন, ‘গাড়ি সেদিন তেমন এগোচ্ছিল না। গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। আমি কথা বলছিলাম মানুষজনদের সঙ্গে। হঠাৎ করে চার, পাঁচ জন ধাক্কা দেয়। কোনও পিলারে গাড়ির ধাক্কা লাগেনি। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি, পা ফুলে গেছে। রক্ত বেরোচ্ছে। তারপর আমি পিজি হাসপাতালে যাই। আমার গোড়ালি থেঁতলে গেছে। আমার পায়ের শিরা কেটে গেছে।’
এদিন অধিকারী পরিবারকে তুলোধনা করে মমতা আরও বলেন, ‘কী দিইনি ওদের!একাধিক মন্ত্রী করেছি। লঞ্চ থেকে পেট্রোল পাম্প, আইটিআই, ট্রলার কী নেই। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আর আমাকে বলছে বহিরাগত! তুই তো কাঁথির ছেলে, তুই কী করে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলি!’
এমনকী নন্দীগ্রামের গণহত্যার সময় সেখানে পুলিশ ঢোকানোর দায় দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-শিশির অধিকারীর উপর! হুইলচেয়ারে বসেই নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো করে মমতা ফের বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিপিএম, আমি ঠিক জানি না, আপনারা বলুন। বাকি আন্দোলকারীদের মামলাও আমরা স্থগিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গদ্দার বাবুর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি। ও নিজেই সিপিএমকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। আপনাদের মনে আছে, সে দিন সিপিএমের কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছিল নন্দীগ্রামে। সিপিএমের নব সামন্ত যে মেরেছিল, সে এখন বিজেপি নেতা’।