বিরুলিয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা থেকে পায়ের আঘাত লাগেনি। এতে মানুষের কোনও দোষ নেই।’ শনিবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া সভা থেকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে। মমতা নিজে সেদিন অভিযোগ করেন যে তাঁকে ষড়যন্ত্র করে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। কী ভাবে তিনি আহত হয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বিরুলিয়ার ঘটনার পর পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন মমতা। ১৮ দিনের মাথায় আবার সেই বিরুলিয়াতেই সভা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বিরুলিয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা থেকে পায়ের আঘাত লাগেনি। এতে মানুষের কোনও দোষ নেই’। এর পর মমতা ফের যোগ করেন, সেদিন চার-পাঁচ জন তাঁকে ধাক্কা দিয়েছিল।
এদিনও মমতার নিশানায় পড়েন শুভেন্দু-শিশির অধিকারী। নাম না করে তাঁদের তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ওদের এক নেতা বলেন, ৩০টার মধ্যে ২৬টা আসন পাব। আমি বলি, তুমি কি ভোটের মেশিনে ঢুকে বসে আছ’?
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারীদের ভূমিকা নিয়েও ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। মমতার অভিযোগ, ‘১৪ মার্চ পুলিশরা ঢুকবে গদ্দার জানত’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেদিন ঢুকেছিলাম বলে নন্দীগ্রাম বেঁচে ছিল। সব বাদ দিয়ে আমি নন্দীগ্রামে কেন পড়ে রয়েছি? কারণ, নন্দীগ্রামকে প্রণাম করতে, নন্দীগ্রামকে সেলাম দিতে এখানে পড়ে রয়েছি’।