ভোটের মুখে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ, বিবেক গুপ্ত-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছিল। তা নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, নেতাদের ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ‘বিরক্ত করছে বা তলব করছে’ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কিন্তু একই মামলায় অভিযুক্ত হলেও বিজেপি নেতাদের তলব করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। চিঠিতে অবশ্য বিজেপির কোনও নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে লেখা সেই চিঠিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় আছে, সেই দল কেন্দ্রীয় সংস্থাদের ‘অপব্যবহার’ করছে। ভোটের আগে রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং তাঁদের মনে ‘ভ্রান্ত’ ধারণা তৈরি করতে বিজেপি সরকার সেই কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ডেরেক। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতে তৃণমূল নেতাদের প্রতি কোনও ‘পক্ষপাতমূলক’ পদক্ষেপ না করা হয়, সেজন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই), এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, বঙ্গের ভোট প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, নীতিন গড়কড়ি, স্মৃতি ইরানি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ কেন্দ্রের একাধিক পূর্ণ এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তাঁরা সরকারি আধিকারিক, সরকারি পরিবহনের অপব্যবহার করছেন বলে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য অভিন্ন নিয়মের মাপকাঠি চালু করারও আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল। চিঠিতে ডেরেক বলেছেন, ‘আমরা বরাবর রাজ্য এবং কেন্দ্রে নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং অবাধ নির্বাচনের পক্ষে থেকেছি।’