প্রায় দোরগোড়ায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোটযুদ্ধের মুখেই ফের বড় ধাক্কা পদ্মশিবিরে। প্রার্থীতালিকা নিয়ে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় অসন্তোষ তো চলছিলই। এবার ভোটের আগে এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দু’শোরও বেশি কর্মী ও সমর্থকেরা। রবিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী মহিষাদল ব্লকের রমণীমোহন মাইতি অঞ্চলের চিঙ্গুমারি এলাকায় নির্বাচনী সভা করেন। সেই সভায় রাধাশ্যাম দাস, মোহনলাল মাজী, নির্মাল খাঁড়া সহ প্রায় দু’শোরও বেশি কর্মী ও সমর্থকেরা এদিন বিজেপির পতাকা ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
যোগদানকারী কর্মী-সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহিষাদল বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মাইতি, মহিষাদল ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব মাইতি সহ অন্যান্যরা। এদিকে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে রাজ্য জুড়ে অশান্তি তৈরি হয়েছে। কোথাও পার্টি অফিসে তালা, আবার কোথাও পার্টি অফিসে জিনিসপত্র ভাঙচুর আবার কোথাও প্রার্থীদের মানতে না দেওয়াল মুছে দেওয়ার মতো নানাবিধ ঘটনা ঘটে চলেছে। পাশাপাশি বিজেপি দলে নিজেদের অস্তিত্বের কথা জানতে পেরে অনেকে বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শাসকদলের ছত্রছায়ায় সামিল হয়েছেন। ফলত ভোটের আগে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, রবিবার মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা আসনের প্রার্থী সমর্থনে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “মেদিনীপুরের মা ভাই বোনেরা গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিরোধ করুন। দেখা যাক কার জোর বেশি, দিল্লীর সন্ত্রাসকারীদের নাকি বাংলার গণতন্ত্রের। ময়নার জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি।দেন অভিষেক।” তিনি জানিয়েছেন, “বিজেপি বাংলায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙছে, বাংলার হাজার হাজার মানুষকে ভাতে মারছে। আবার মুখে বাংলার মানুষের পাশে থাকার কথা বলছেন বিজেপি নেতারা। এই দ্বিচারিতা কেন? মানুষ সব বুঝতে পারছেন। বাংলা তাই নিজের মেয়েকেই চায়।”