মাঠ ছোট করে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও লোক এল না। ভরল না ছোট মাঠও। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নির্বাচনী প্রচার সভায় ফাঁকা মাঠের ছবি দেখে কার্যত হতাশ বিজেপি। উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার কাশীপুরে সেবাব্রতী সঙ্ঘের যে মাঠে এদিন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সভা করলেন, সেই মাঠেই আগামী মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন।
এদিন রেলমন্ত্রী জনসভার মধ্যেই ওই মাঠের সমগ্র অংশ জুড়ে তৃণমূলনেত্রীর সভার জন্য মাঠ প্রস্তুত করার কাজও চলে। আর সভার শুধু পেছনের অংশ নয় মাঝখানেও একাধিক চেয়ার ফাঁকা ছিল। অথচ সভায় উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা, বিজেপির রাজ্যের সাধারন সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। যা নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে কাশীপুর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্বের।
রেলমন্ত্রীর সভা শুরু করতেও দেড় ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে মাঠ ভর্তি না হলেও এদিনের সভাস্থল থেকে রেলমন্ত্রী নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেন। তার পাল্টা দিয়েছে জোড়াফুল শিবিরও। বিধায়ক তথা কাশীপুরের তৃণমূল প্রার্থী স্বপন বেলথরিয়া বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে কি রাজনীতিতে আসতে পারবে না? বিজেপিতে কি একই পরিবারের একাধিক সদস্য নেই? আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছিলেন যদি নিয়ম করতে হয় তাহলে এই নিয়ম চালু হোক। আমরা যারা একই পরিবার থেকে একাধিক জন রাজনীতি করছি তারা পদত্যাগ করব। কিন্তু বিজেপিকেও তাই করতে হবে’।