নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার পর ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবারই দিল্লীতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যাচ্ছেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। ওই দলে থাকছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা, সাংসদ নাদিমুল হক, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
শাসক দলের অভিযোগ, ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিকে-দিকে বিক্ষোভই হোক বা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তাই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি জানাবে তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নিজেদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর থেকেই দিকে-দিকে বিক্ষোভ চলছে, তাতে নানা জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আবার বৃহস্পতিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তৃণমূল প্রার্থী সূর্যকান্ত অট্ট প্রচার সেরে ফেরার পথে তাঁর গাড়ির উপর হামলা হয়েছে। ভাঙে তাঁর গাড়ির কাচও। বিজেপি শাসিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও তা অস্বীকার করেছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, এ বারের ভোটে প্রতিটি বুথের ভিতরে এবং বাইরে নজরদারির দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বুথের ভিতরে এবং বুথ থেকে একশো মিটার দূরত্বের মধ্যে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই মোতায়েন করা হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷ সাধারণত বুথের ভিতরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে একজনকে রাখা হয়৷ কিন্তু এবার সেই রীতিতে বদল করছে কমিশন৷ বুথের ভিতরে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করার দাবিতে মূলত বিজেপি নেতৃত্বই সরব হয়েছিলেন৷ সেই দাবি একপ্রকার মেনে নিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷ তাঁর কথায়, ‘কমিশন যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে, সেটাই হবে৷ কিন্তু নিয়ম মতো রাজ্য সরকারের পুলিশের অধীনে থাকার কথা৷ সেটা যদি না হয়, তাহলে আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ করব৷ নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে কেন তা করছে, জানি না৷ কমিশন নিয়ম নীতির ঊর্ধ্বে নয়৷ ওরা সেরকম কিছু করলে আমরা আপত্তি জানাব৷’ এদিন এই বিষয়টি নিয়েও তৃণমূল প্রতিনিধি দল নিজেদের আপত্তির কথা জানান কিনা, সেটাই দেখার।