বুধবার মোদী সরকারের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অব দিল্লী (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিলের বিরোধিতা করে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লীবাসীর জন্য সরকার ও তাঁর দল সব কিছু করতে প্রস্তুত। কিন্তু, কোনও ভাবেই জনতার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে কেড়ে নিতে দেবে না। এই ইস্যুতেই এবার আপ সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লীর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে আরও ক্ষমতা দিতে সোমবার লোকসভায় একটি সংশোধনী পেশ করেছে মোদি সরকার। তার নাম এনসিটি দিল্লী বিল ২০২১। আর তারপরেই দিল্লী সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের নতুন করে সংঘাত দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিলের প্রতিবাদে যন্তরমন্তরে একটি সভা করেন কেজরিওয়াল। সেখানে দিল্লীবাসীর ক্ষমতা লুট করতে এই বিল এনেছে বলে মোদী সরকারকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘দিল্লীবাসীর জন্য আমরা সমস্ত কিছু করতে তৈরি। কিন্তু, আপনাদের পরিশ্রম ও ক্ষমতা কেন্দ্রকে কখনই লুট করতে দেব না।’ এখানেই থেমে না থেকে কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, ‘লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিয়ে সরকার চালনা করতে চাইলে নির্বাচিত সরকারের কী দরকার? দিল্লীবাসী কী করবে? মুখ্যমন্ত্রী রাখার অর্থই বা কী? এই বিল নিয়ে দিল্লিবাসী ব্যাপক ক্ষুব্ধ। সে কারণেই এই জমায়েত।’
এই ইস্যুতে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। বাংলার ভোটের জন্য দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আজ সবথেকে খারাপ লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা সঙ্কুচিত করা হয়েছে। তাহলে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু আজকে এমন কী হল?’ এরপরেই মমতার সংযোজন, ‘নির্বাচিত আর মনোনীত সরকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা করছি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমর্থন করেছি। প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিবাদ জানানো উচিত। গণতান্ত্রিক সরকার কখনও দুর্বল নয়।’