বাঁ পায়ে প্লাস্টার, হুইলচেয়ারই এখন চলাফেরায় ভরসা। তবুও ছেদ পড়েনি প্রচার কর্মসূচিতে। প্লাস্টার বাঁধা পা নিয়ে হুইলচেয়ারে সওয়ার হয়েই এক সভা থেকে অন্য সভায় জনসংযোগে ব্যস্ত নেত্রী। বৃহস্পতিবার কেশিয়াড়িতে মমতা বললেন উন্নয়নের কথা। বিজেপিকে আক্রমণও করলেন। পদ্মশিবিরকেকে ভণ্ডামি আর দুর্নীতির দোকানদার বলে মন্তব্য করেন মমতা।
মমতার বক্তব্যে এদিন উঠে এলো তৃণমূলের সদ্য প্রকাশিত ম্যানিফেস্টোর সমস্ত ফিরিস্তিগুলিই। বারংবার বুঝিয়ে দিলেন, এবার তাঁর নজর যুব আর মহিলা ভোট। ছাত্রযুবর মন পেতে মমতার প্রতিশ্রুতি, ‘বাবা মায়ের থেকে পয়সা নিতে হবে না। ক্রেডিট কার্ডে দশ লক্ষ দেবো আমরা। এর জন্য জামিন দিতে হবে না। এই টাকাতেই ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে’।১৮ বছরের ঊর্ধ্বের মহিলারা যদি বিধবা হন তবে তাকে ভাতা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিলেন মমতা।
এবারের যুদ্ধে মমতার আরও এক তাস, রেশন। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বললেন, আমাদের সরকার থাকলে বিনে পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। নির্বাচন মিটলে এই রেশন পৌঁছবে বাড়িবাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। তাঁর আরও প্রতিশ্রুতি, আমাদের সরকার এলে কৃষকরা দশ হাজার টাকা পাবে।
গড়বেতা মানে সুশান্ত ঘোষের রবরবা। আজ তাঁর নাম নিতেও দেখা গেল মমতাকে। বললেন, ‘সিপিএম অনেক দেখেছি৷ সুশান্ত, তপনকে দেখেছি৷ ওই পচা সিপিএম এখন পচা বিজেপি। জোচ্চুরির দলকে জব্দ করতে হলে আমাদের ভোট দেবেন’। অনেকটা কেজরিওয়ালের ঢঙে ভোট ধরতে এবার কাজকেই মন্ত্র করেছেন মমতা। উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়েই কথা বলছেন প্রতিটি জনসভায়। তবে নিয়ম করে থাকছে বিজেপিকে কটাক্ষ। আজ যেমন বললেন, ওঁরা নির্বাচন আসলেই ক্যাশ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। ১০০ টা ফ্লাইট ভাড়া করেছে।
বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে মমতা বলেন, ‘যদি বিনা পয়সায় রেশন পেতে হয়, স্বাস্থ্যসাথী পেতে হয়, বিধবা ভাতা পেতে হয় তবে একটা ভোটও বিজেপিকে নয়। যদি ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট কার্ড পেতে হয়, মেয়েদের সম্মান পেতে হয়, ৫০০ টাকা প্রতিমাসে পেতে হয় তবে বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না’। মমতার কথায়, ভোট দিন তৃণমূলে, জোড়াফুলে আর কাউকে নয়।