রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রতিটি এলাকায় প্রচারের উত্তাপ বাড়ছে। আর প্রচারে নেমে প্রতিপক্ষকে তির্যক আক্রমণ থেকে পিছপা হচ্ছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। এক দিকে যেখানে বিজেপি দাবি করছে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসবে, সেখানে তৃণমূল দাবি করছে ২৫০-র বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়বে তারা। আর এ বার প্রচারে গিয়ে আসন নিয়ে সংখ্যাতত্ত্বে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হুগলির চাঁপদানিতে তৃণমূল প্রার্থী অরিন্দম গুঁইকে নিয়ে প্রচারে যান কল্যাণ। সেখানে নিজের বক্তব্যে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তকে ইডি-র তলব প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। কল্যাণ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বুঝে গেছে বাংলায় বিজেপি ৫০টি আসনও পেরবে না। তাই সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি বলছি এই সব ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। ২০২১-এ ক্ষমতায় আসবে মমতাই। আর ২৪ সালে মোদী, শাহকে মানুষ সব বুঝিয়ে দেবে।”
বৃহস্পতিবার সকালেই জানা গিয়েছে, এ বারের বিধানসভায় কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়কে। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “মুকুল রায় এতদিন নিজেকে স্ট্র্যাটেজিস্ট বলে দাবি করেছেন। দেখি বিজেপি-কে তিনি কীভাবে টেনে তুলতে পারেন। খেলা হবে। মুকুলের চেনা মাটিতেই খেলা হবে। বিজেপি যাদের কিনেছে তারা সবাই পচা মাল। বাঘ ভেবে বিড়াল নিয়েছে। ২ মে-র পর সব প্রমাণ হয়ে যাবে।”