২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সভা-মিছিলগুলিতে দেখা গিয়েছিল জনতার ঢল। যার ফলে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয় তারা। কিন্তু সেই ছবিটা আর দেখা যাচ্ছে না এখন। বরং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই ফিকে হচ্ছে গেরুয়া ক্রেজ। আমজনতার সমর্থন হারাচ্ছে বিজেপি। যার ফলে শাহ-নাড্ডা-যোগীর মতো একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতার সভা যেমন সুপারডুপার ফ্লপ হচ্ছে বাংলার বুকে। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেনের সব সভা বাতিল করা হল! যদিও তাঁরা বলছেন লোকসভায় হুইপ জারি হয়েছে বলে বাতিল জনসভা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, ভিড় হচ্ছে না বলেই সভা বাতিল নয় তো?
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে শালবনিতে এসে সভা করে গেছেন। কিন্তু স্মৃতি ইরানির মত হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ডেকে এনেও মাঠ ভরাতে পারেনি বিজেপি। আবার একইভাবে রামনগরের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে নীতিন গড়কড়ির সভাতেও ফাঁকা থেকেছে দর্শকাসন। এর আগে বালুরঘাটে রাজনাথ সিংহের সভায় বা যোগী আদিত্যনাথের সভাতেও হাতে গোনা মানুষের ভীড় হয়েছিল। এমনকি ঝাড়গ্রামে লোক না হওয়ায় সভা বাতিল করে ভার্চুয়াল ভাষণ দেন স্বয়ং অমিত শাহ। বারবার এভাবে হেভিওয়েট নেতাদের সভা ফাঁকা থাকাতেই কি স্মৃতি, শাহনাওয়াজের সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠছেই।