সিরিজ আপাতত ১-১। মোতেরায় প্রথম দুটো টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছে একটু কালচে রংয়ের উইকেটে। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলা হতে পারে লাল মাটির পিচে। যা দেখে ইংরেড শিবির মনে করছে, একটু ঘূর্ণি থাকলেও থাকতে পারে। কাজেই বোলাররা এই ম্যাচে বড় ভূমিকা নিতে পারেন। আর দলের বোলারদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে অধিনায়ক বিরাটের।
গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে হারলেও রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এসেছে ভারত। ঈশান কিশান, বিরাট কোহলিদের সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। তরুণ ঈশানের পাশাপাশি বোলারদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে কোহলির মুখে। ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ১৬৪ রানে আটকে রেখেছিল ভারত। হার্দিক পাণ্ডিয়া পুরো চার ওভার বল করেছিলেন। হার্দিকের প্রশংসা করে অধিনায়ক কোহালি বলেছেন, “হার্দিক প্রতিটা ম্যাচে অন্তত তিন ওভার বল করে দিচ্ছে। এর জন্য ওকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।” তিনি এও বলেছেন, “আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তিন ধরনের ক্রিকেটেই পুরোদস্তুর অলরাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করার জন্য যা করতে হবে, তা করবে হার্দিক। ও আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হার্দিকের মতো ক্রিকেটার সত্যিই অমূল্য।” পিঠের চোটের জন্য দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন হার্দিক। তবে এখনও পুরোদস্তুর বোলার হার্দিককে পাওয়া যায়নি। চলতি সিরিজ শুরুর আগে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছিলেন, তিনি এ বার বোলিং শুরু করবেন।
পাশাপাশি পুরো বোলিং বিভাগের প্রশংসাই করেছেন ভারত অধিনায়ক। কোহলির কথায়, “দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের বোলাররা খুব বুদ্ধি খাটিয়ে বল করেছে। শেষ পাঁচ ওভারে আমরা মাত্র ৩৪ রান দিয়েছি।” অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের কথা আলাদা করে বলেছেন অধিনায়ক। কোহলির মন্তব্য, “ওয়াশি খুব মাথা খাটিয়ে বল করেছে। ও মাত্র এক জন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানকেই বল করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ডান-হাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বড় বাউন্ডারিটা খুব সুন্দর কাজে লাগায়।” গত কাল জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। ইংল্যান্ডের দুই ডান-হাতি ব্যাটসম্যানই বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ভারতীয় ফিল্ডারকে।
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে নামতে চায় ইংরেজরা। অধিনায়ক অইন মর্গ্যান স্বীকার করেছেন, ভারত তাঁদের দুর্বলতাগুলো দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছিল। মর্গ্যানের কথায়, “আমরা ধরে নিয়েছিলাম, এই ধরনের মন্থর, নিচু বাউন্সের পিচে কোনও না কোনও ম্যাচে আমাদের খেলতে হবে। এই ধরনের পিচে আমরা বেশি খেলতে অভ্যস্ত নই। দুর্বলতাগুলো তাই ধরা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু যত খেলব, তত নিজেদের শুধরে নিতে পারব।”
উল্লেখ্য, তৃতীয় ম্যাচের পিচে বল একটু ঘুরতেও পারে। যে কারণে অফস্পিনার-অলরাউন্ডার মইন আলির দলে ফিরে আসার একটা সম্ভাবনা আছে। প্রথম ম্যাচে ভাল বল করা মার্ক উড গোড়ালির চোটের জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেননি। তিনি সুস্থ হয়ে গেলে দলে ফিরবেন। দ্বিতীয় ম্যাচে হারলেও ইংল্যান্ড যে ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, তা জানিয়েছেন ওপেনার জেসন রয়। দুটো ম্যাচেই ব্যাট হাতে ভাল শুরু করেছিলেন রয়। সোমবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এসে ইংল্যান্ডের এই ওপেনার বলেছেন, “সিরিজে ফিরে আসার ব্যাপারে আমি রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। গত কাল আমাদের ইনিংসের শেষ আট ওভারে সে রকম রান তুলতে পারিনি। তবে আমরা ভুল থেকে দ্রুত শিক্ষা নিয়েছি।” নিজের উদাহরণ দিয়ে রয় বলেছেন, “আমি প্রথম দিকে কয়েকটা রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। তার পরে ভুলটা শুধরে ওই শটটা সাফল্যের সঙ্গে খেলি।”