প্রার্থী ঘোষণার পর বাংলাজুড়ে তীব্র হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল। একাধিক কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবিতে চলছে কর্মীদের বিক্ষোভ। এবার সেই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল কলকাতার বিজেপি কার্যালয়ে। সোমবার বিজেপির হেস্টিংস অফিসের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের দাবিতে এদিন সরব হন তাঁরা। এমনকী, হেস্টিংস অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় মুকুল রায়কেও। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের।
উল্লেখ্য, রবিবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে দেখা যায় পাঁচলায় প্রার্থী হয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। আর উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী হয়েছেন সুমিত রঞ্জন কাঁড়ার। প্রার্থী নিয়ে অসন্তুষ্ট স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। মোহিত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। তাঁকে প্রার্থী করায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ছিল। এদিন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল। বিজেপির পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, মোহিত দেহব্যবসা চালান। মাত্র ১৫ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। স্রেফ রাজীব ঘনিষ্ঠ বলে এবার টিকিট পেয়েছেন মোহিত। এই টিকিট পাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।
প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর থেকেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। সোমবার বেলা গড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা হেস্টিংস কার্যালয়ের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মী জড়ো হন। স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেইসময় মুকুল রায় অফিসে ঢুকতে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা। গেট ভেঙে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বাংলায় প্রার্থী নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে এমন পরিস্থিতি বিপাকে ফেলেছে গেরুয়াশিবিরকে। সূত্রের খবর, সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন অসম থেকে কলকাতায় ফিরে আসছেন অমিত শাহ। বৈঠকে বসতে পারেন তিনি।