এবার খড়গপুর সদর কেন্দ্রে এমন একজন নায়ককে প্রার্থী করেছে বিজেপি, যার হিট সিনেমার নাম কাউকে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো কেউই বলতে পারবে না। বরং ফ্লপ সিনেমার তালিকা করতে বসলে হাতে গুণেও শেষ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে যখন তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন সেই সময়ও তাঁকে লিড দিয়েছিল এই খড়গপুর। তবে তার ৬ মাসের মাথায় হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনে খড়গপুর আসন চলে যায় তৃণমূলের দখলে। তাই বিজেপির লড়াই এবার সেই আসন পুনর্দখলের।
কিন্তু সেই আসন ছিনিয়ে নেওয়ার জায়গাতেই বিজেপি এমন একজনকে প্রার্থী করে দাঁড় করিয়েছে যে না নিজের পেশায় সফল না প্রতিষ্ঠিত বা জনপ্রিয়। কার্যত বাংলা, হিন্দি, তেলেগুভাষী শহরে বিজেপির প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বাঙালি ভিন্ন কোথাও সেভাবে কোনও পরিচিতি নেই। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির এহেন প্রার্থীকে ঘিরে রীতিমত হতাশায় ভুগছে খোদ গেরুয়া শিবিরের নেতা থেকে কর্মীরা। রাজ্যের শাসক দলের কাছ থেকে আসন ছিনিয়ে নিতে যে জাঁদরেল ওজনদার প্রার্থীর দরকার ছিল তা দিতে পারেনি বিজেপি।
যদিও রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন হিরণের হয়ে প্রচার করতে। খড়গপুর শহরে তিনি একটি রোড-শো করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের সাফ কথা, শাহ আসুন বা নাড্ডা ফ্লপ হিরোকে কেউই ভোটে জেতাতে পারবেন না। কারণ হিরণের না আছে কোনও ইমেজ, না আছে কোনও আবেদন। নেই সেই অর্থে গ্ল্যামারও। দেব এসে যখন খড়গপুরে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবে তখন বিজেপি বুঝে নেবে তারকা ইমেজ কাকে বলে। এখন হিরো হিরণের হয়ে খড়গপুরে এসে অমিত শাহ নেচেগেয়ে গেলেও কেউ তাঁকে জেতাতে পারবে না।