সারাদিন রোদে ঘুরে প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছিল। আশেপাশে কোনও দোকান না পেয়ে মন্দিরের একটি কল খুলে জল খেয়েছিলেন বছর ১৬-র এক কিশোর। এতেই কপালে জুটল বেধড়ক মার। তার একমাত্র অপরাধ, সে ধর্মে মুসলিম। সেই কারণেই এক স্থানীয় বাসিন্দার হাতে বেধড়ক মার খেতে হল তাঁকে। নেটদুনিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
যোগী রাজ্যের গাজিয়াবাদের একটি মন্দিরে জল খেতে ঢুকেছিল ওই কিশোর। সেই সময় মন্দিরের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রীঙ্গী নন্দন যাদব নামক এক ব্যক্তি। কিশোরের চেহারা ও পোশাক দেখে সন্দেহ হতেই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। চোখে মুখে আগে থেকেই ছিল ভয়। নাম ও বাবার নাম জানার পরই ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন মন্দিরে কী করতে গিয়েছিল সে। জবাবে ওই কিশোর জানায়, জল তেষ্টা পাওয়ায় সে জল খেতে ঢুকেছিল। এই কথা শোনার পরই তাঁকে বেধড়ক মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। মচকে দেন হাত, মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারতে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই সমালোচনায় সরব হন নেটাগরিকরা। টুইটারে গাজিয়াবাদ পুলিশকে ট্যাগ করে দ্রুত পদক্ষেপের দাবিও জানান তাঁরা। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ। ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিতকরণ করা হয় ও শুক্রবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এই বিষয়ে গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা বলেন, ‘ভিডিওয় যে ব্যক্তি ওই কিশোরকে মারধর করছিল, তাঁকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁর নাম শ্রীঙ্গী নন্দন যাদব। তিনি আদতে বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। গ্রেফতার করার পর তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে’।