প্যান্ট, স্কার্ট পরতে পারবে না কোনও মেয়ে। হাঁটুর ওপরে কোনও পোশাক পরলে সমাজ থেকে তাঁদের বয়কট করা হবে। এমনই তুঘলকি সিদ্ধান্ত যোগী রাজ্যের মুজফফরনগর এলাকার খাপ পঞ্চায়েতের। এখানেই শেষ নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও হাঁটুর ওপরে প্যান্ট পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খাপ পঞ্চায়েতের দাবি, এই ধরণের পোশাক সমাজকে বিচলিত করে। সমাজের মূল্যবোধ নষ্ট করে।
ভারতীয় কিষান সংগঠনের সভাপতি শনিবার এ প্রসঙ্গে বলেন, হাঁটুর অপরের পোশাক পরা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী নয়। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের কখনওই হাঁটুর ওপরে স্কার্ট বা প্যান্ট পরা উচিৎ নয়। ছেলের ক্ষেত্রেও যথাযথ পোশাক পরা একান্ত কাম্য। যদি না পরেন কেউ সেক্ষেত্রে তাঁরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বেন’। তবে শিশুরা এই নিয়মের আওতায় পড়বে না বলে জানিয়েছেন কিষান সংগঠনের সভাপতি। যদিও স্কুলে পরা শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁটুর ওপরে পোশাক পরাটাও দৃষ্টিকটূ বলেই মত তাঁর। বলেন, ‘স্কুলের বাচ্চাদের ইউনিফর্ম পরতে হয়। আমরা স্কুলগুলির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলব যাতে তাঁরা বাচ্চাদের অভিভাবকদের হাঁটুর ওপরে পোশাক পরিয়ে স্কুলে পাঠান’।
এ দিনের বৈঠকে পোশাকের পাশাপাশি অবৈধ মদ নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে কিষান সভাপতি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। কোনও প্রার্থী যদি গ্রামবাসীদের মদের বিনিময়ে ভোট কিনতে চান, সেক্ষেত্রে তা জানাজানি হলে, প্রার্থীকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে’। খাপ পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গোটা ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমের সুত্রে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে’।