‘মমতা শুরু থেকেই ফাইটার। কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় নিজে পণবন্দী হিসেবে যেতে চেয়েছিলেন। জঙ্গীদের হাত থেকে বন্দীদের ছাড়ানোর জন্য নিজে আত্মত্যাগ করতে রাজি ছিলেন মমতা। আমি নিশ্চিত বাংলার নির্বাচনে তৃণমূল বড় সাফল্য পাবে। বাংলার এই ভোট বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশের ভবিষ্যতের জন্যও ভীষণ জরুরি। বাংলায় বিজেপির হার নিশ্চিত। বাংলা থেকেই ২০২৪-এ পরিবর্তন হবে দিল্লীতে’। শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে এ কথা বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
সূত্রের খবর, আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে যশবন্তর। মমতার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলার পরই শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ যশবন্ত বলেন, ‘আজকের ঘটনায় হয়তো আপনারা চমকে গিয়েছেন। কেন এই বয়সে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরলাম? আসলে দেশ এই মুহূর্তে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত স্বশাসিত সংস্থা আজ বিপদের মুখে। এর মধ্যে রয়েছে বিচারব্যবস্থাও। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। অথচ, কারও কোনও হেলদোল নেই। আজ এই দেশে কৃষক, মজুর সকলেই ত্রস্ত। স্বাস্থ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম দুর্দিন চলছে। তাতেও উদাসীন সরকার। এখনকার কেন্দ্রীয় সরকারের একটাই লক্ষ্য, ভোটে জেতা’।
মমতার সুরেই যশবন্ত আরও বললেন, ‘অটলজির বিজেপি আর আজকের বিজেপির মধ্যে বিস্তর ফারাক। অটলজি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন। এখনকার সরকার সবাইকে দমন করার নীতিতে বিশ্বাস রাখে। অটলজির আমলে আমরা দেশজুড়ে মহাজোট গঠন করেছিলাম। অথচ, আজকের বিজেপির পাশে কেউ নেই। তার কারণ এই বিজেপি সঙ্গে থাকার যোগ্য নয়। এই লড়াই শুধু ভোটের বা রাজনীতির লড়াই নয়। এটা দেশের গণতন্ত্রের লড়াই, দেশের অস্মিতা বাঁচানোর লড়াই’।