অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন। ঘাসফুলে শিবিরে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন।কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পণবন্দী হতে চেয়েছিলেন দেশের জন্য। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন যশবন্ত।
যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ফাইটার। ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সের যে বিমান অপহরণ করা হয়েছিল। জঙ্গীরা সেটাকে কান্দাহার নিয়ে গিয়েছিল। এই বিষয়ে মন্ত্রিসভায় এক বৈঠক চলছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পণবন্দী হতেও রাজি ছিলেন। নিজেই বলেছিলেন একথা। বাকি পণবন্দীদের বিনিময়ে তিনি জঙ্গীদের কাছে পণবন্দী হতে চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ২৪ ডিসেম্বর। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান অপহরণ করে জঙ্গিরা। অপহরণ করে বিমানটিকে নামায় আফগানিস্তানে। সমস্ত বিমান যাত্রী, পাইলট ও কেবিল ক্রুদের পণবন্দী করে রাখা হয়। ভারতে বন্দী থাকা ৩ জঙ্গীর বিনিময়ে পণবন্দীদের ছেড়ে দিতে রাজি হয় জঙ্গীরা। মুস্তাফিক আহমেদ জারগর, আহমেদ ওমর সইদ ও মাসুদ আজহার এই ৩ জঙ্গির মুক্তি দাবি করে জঙ্গীরা।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে পুরনো বিজেপিকে নিশানা করলেন যশবন্ত সিনহা। তিনি বলেন, পুরনো বাজপেয়ী জমানার সঙ্গে বর্তমানে মোদী সরকারের আকাশ পাতাল তফাত। পুরনো সহযোগীরা একে একে বিজেপির হাত ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অকালি দল, শিবসেনা চলে গেছে। একমাত্র নীতিশ কুমারের জেডিইউ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। যশবন্ত বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আজ দুর্বল। ঠিক ভাবে চলছে না। আজ গণতন্ত্রের সমস্ত সংস্থা দুর্বল হয়ে গেছে। দেশের বিচারব্যবস্থাও এতে সামিল আছে। গণতন্ত্র এখন বিপদের মুখে। দেশের কৃষকরাও বিপন্ন’।