লোকসভায় বিপুল ভোটে জিতেছেন। কিন্তু তারপর থেকে সাংসদকে এলাকাতেই দেখা যায় না। সাধারণ মানুষের নয়, এমন অভিযোগ রয়েছে খোদ দলের অন্দরেই। পাশাপাশি জেলা দফতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে তথৈবচ অবস্থায় বিজেপির বর্ধমান কার্যকর্তাদের। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনে এখনও বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি।
প্রার্থী কে হবেন? এই প্রশ্নে এলাকায় হাওয়া সরগরম। কিন্তু তারই আগে বর্ধমান শহরে একাধিক বিজেপি নেতার নামে ফের কুরুচিকর পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির আদি-নব্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব নাকি? প্রশ্ন উঠছে। বিজেপিরই কোনও নেতার ইন্ধনে বারবার এই ধরণের কুরুচিকর পোষ্টার দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ। এ নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। ইতিমধ্যেই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস, সংযুক্ত মোর্চা এবং এস ইউ সি আই সি-র প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়ে গেছে। তাদের প্রার্থীরা প্রচার করছেন। এর পরেও কমবেশি সকলেরই চোখ এখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকার দিকেই।
বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ড এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিজেপি প্রার্থী চাই- এই পোষ্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। এই পোষ্টারে বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পদাধিকারী তথা বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন, এই রকম নেতা নেত্রীদের ছবি দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে, তাঁরা যাতে প্রার্থী হতে না পারেন সেই আবেদনই জানানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির আদি ও নব্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তারই ফল এটা।