মোদী সরকারের নয়া ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারতের কৃষকদের আন্দোলন ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে বিশ্বে। এবার ফের আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল মোদী সরকার তথা গেরুয়া শিবিরের। গত ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি জমানা শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতের গণতন্ত্র ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করে, এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকারি নজরদারি, দেশদ্রোহ আইন প্রয়োগের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র’–এর তকমা কেড়ে নিল সুইডেনের ভি-ডেম (ভ্যারিয়াস ডেমোক্রেসি) ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি ‘অটোক্রেটাইজেশন গোওজ ভাইরাল’ নামে পঞ্চম বার্ষিক গণতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। সেই রিপোর্টেই ভারতকে ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ১৭৮৯ সাল থেকে এই রিপোর্ট তৈরি করছে ‘ভি–ডেম’। তালিকায় রয়েছে ২০২টি গণতান্ত্রিক দেশ। কোন দেশের গণতন্ত্র কতটা সফল, ০ থেকে ১-এর মধ্যে একটি নম্বর দিয়ে তা মাপা হয়। শেষবার ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ নম্বর ০.৫৭ পেয়েছিল ভারত। ২০২০ সালের শেষদিকে তা কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ০.৩৪ নম্বরে। রিপোর্ট বলছে, ভারতেও এখন পাকিস্তানের মতো স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা চলছে। এমনকি বাংলাদেশ, নেপালের চেয়েও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকারের সমালোচনা করা জন্যই যে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, তাও লেখা হয়েছে ওই রিপোর্টে।