বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করতে চলেছেন কৃষকরা। উপস্থিত থাকবেন রাকেশ টিকায়েত। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ইস্যুতে ভোটের বাংলায় গোটা রাজ্যে সবমিলিয়ে ছ’টি মহাপঞ্চায়েত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এমনকী কৃষক সমাবেশ করা হবে কৃষক আন্দোলনের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত সিঙ্গুরেও। নিজস্ব যানবাহন নিয়ে কলকাতার রাস্তায় কৃষক মিছিলও করা হবে। তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ, শুক্রবার, ১২ মার্চ থেকে বাংলায় তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এর জেরেই ভোটের মুখে কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি।
বিক্ষোভরত কৃষকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, দাবি আদায়ে এবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকেই হাতিয়ার করবেন তাঁরা। ওই কর্মসূচির শুরু হবে বাংলা থেকেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার যেভাবে বাংলায় দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা, তাকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বুধবার নন্দীগ্রামে তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর এহেন ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে হারানোর আহ্বান জানিয়ে সেই নন্দীগ্রামের মাটিতেই আয়োজিত হতে চলা কিষান মহাপঞ্চায়েত আক্ষরিক অর্থেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।
১৩ মার্চ নন্দীগ্রামের পাশাপাশিই সকাল ১১টার সময় কলকাতার মেয়ো রোডে কিষান মহাপঞ্চায়েত হবে। বিকেলে কলকাতার শরৎ বসু রোডে আয়োজন করা হবে বেঙ্গল কিষান মজদুর জনসভা। এরপর মশাল মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় সিঙ্গুরে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করবেন কৃষকরা। ওইদিনই বিকেল ৪টের সময় আসানসোলে কিষান মহাপঞ্চায়েত করা হবে। জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, আসানসোলের তিনটি কিষান মহাপঞ্চায়েতেই থাকবেন সমাজকর্মী মেধা পাটেকর। সংগঠনের মুখপাত্র সত্যম ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়েই আমরা কৃষকদের কাছে যাব। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লীর সীমানাগুলিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাও হেলদোল নেই কেন্দ্রের। ভোটের ফলে যদি এর প্রভাব পড়ে, একমাত্র তাহলেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির হুঁশ ফিরতে পারে।’