মোদী বনাম মমতা। ব্রিগেড বনাম শিলিগুড়ির জনসভা। রবিবার সারাদিন এই প্রতিযোগিতাই দেখল বাংলার জনতা। আর রেজাল্ট। সাড়ে ছয় হাজার বনাম ২৪ হাজার। হ্যাঁ, মোদীর ব্রিগেডের ফেসবুক লাইভ দেখলেন মাত্র সাড়ে ছয় হাজার মানুষ। অন্যদিকে মমতার জনসভার ফেসবুক লাইভের দর্শক সংখ্যা ২৪ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ৩ গুণ বেশি। ভোট প্রচারের শুরুতেই মোদীকে দশ গোল দিলেন মমতা।
রবিবার ব্রিগেডে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক তখনই প্রায় ৫৮০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে পুরোদমে নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, দোলা সেনরা।
হাতে হাত ধরে, প্ল্যাকার্ড, গ্যাস সিলিন্ডারের কাট আউট হাতে আজ পদযাত্রা করেন তৃণমূল নেত্রী।
সভা শেষে শিলিগুড়ির জনসভায় বক্তৃতাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় একই সময়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রী এবং বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে দুটি বক্তৃতাই যথাক্রমে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কাছে হেরে গেলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী। ফেসবুক লাইভে যখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনলেন সাড়ে ছয় হাজার মানুষ। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা লাইভে শুনলেন ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বনাম প্রধানমন্ত্রী লড়াইয়ে আরো এক গোলে এগিয়ে থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বহু চর্চিত ব্রিগেড ফ্লপ এবং হিট হল শিলিগুড়ির জনসভা।